Friday , March 29 2024

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

 শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে ছেলে-মেয়েদের মৃত্যু ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাচ্চাদের খুব কষ্ট হচ্ছে এতে কোন সন্দেহ নাই। করোনাভাইরাস এটা একটা সংক্রামক ব্যাধী। এখনো চিকিৎসা বের হয়নি, তারপরও আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি মানুষ ভালো হচ্ছে। সেখানে এই ঝুঁকিটা আমরা ছেলে মেয়েদের জন্য কেন নেব?

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা একথা বলেন।

বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের স্কুল খুলে দেওয়ার কথা বলায় তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় কিন্তু স্কুল খুলে দিয়েছিল একটা পর্যায়ে তারা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। ইউরোপে এরকম ঘটনা ঘটে, ইংল্যান্ডেও ঘটেছে। তার কারণ সেখানে ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। আমরাও একটা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। যখনই করোনার প্রকোপটা কমে গিয়েছিল আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। কিন্তু তারপর দেখলাম আবার ইউরোপে করোনার প্রকোপ দেখা দিল।

 

Prime Minister Sheikh Hasina
Prime Minister Sheikh Hasina

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকাল তো সবাই সুখী পরিবার বানাতে যেয়ে হয়তো একটা-দুইটা বাচ্চা নিয়ে এককভাবে থাকে। আগে তো একান্নবর্তী পরিবার ছিল সবাই একসাথে থেকে হেসে খেলে চলত। এখন সেই সুযোগটা কম।

তিনি বলেন, অটো প্রোমশনের ব্যাপারে বলব। আমাদের আগে এই সেমিস্টার ব্যবস্থা ছিল না, আমি প্রথমবার সরকারে এসে সেমিস্টার সিস্টেম চালু করি। কাজেই সেখানে সারাবছর তারা যে পরীক্ষা দিয়েছে তারই ভিত্তিতে একটা রেজাল্ট দেয়া হবে এটা কিন্তু ইংল্যান্ডেও দিয়েছে। এটা পৃথিবীর অনেক দেশেই দিয়েছে। এতে খুব বেশি একটা ক্ষতি হয় তা না। তারা তো স্কুল করবে, পড়বে, পরীক্ষা দেবে। যারা টিকে থাকবে থাকবে, না হলে আবার পরীক্ষা দেবে। সেই সুযোগটা তাদের আছে। কাজেই অটো প্রোমশনে খুব ক্ষতি হলো এটা কিন্তু ঠিক না। ওই একদিন বসে লিখে পাস করলেই সেটা পাস, আর সারাবছর পরীক্ষা দিয়ে যে রেজাল্ট সেই রেজাল্ট, রেজাল্ট না এটা তো হতে পারে না বরং সেইভাবে যদি সারাবছরের রেজাল্ট এক সাথে করে প্রোমশন দিয়ে দেওয়া যায় তাহলে তো তাদের মেধার পরিচয়টা পাওয়া যায়। তাতে আরো ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কিন্তু ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি করণ করে দিয়ে দিয়েছি। প্রত্যেকটা জেলা উপজেলায় স্কুল কলেজও পাওয়া গেছে। সব এমপিও ভুক্তও করা হয়েছে। এখন সব এমপিও ভুক্ত। সব কেন সরকারি করতে হবে? স্কুল করার একটা নিয়ম আছে? অনেকে সেই নিয়ম মানেননি। যেখানে যখন তখন একটা স্কুল খুলে ফেলেছে। হয়তো ছাত্র-ছাত্রীই নাই, এ রকমও আছে। ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষকের সংখ্যাও বেশি সেরকমও আছে। সেটা মাদরাসা স্কুল সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

About Staff Reporter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *